শুরু থেকেই বাংলাদেশের যুবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং সামলে রান তুলতে হিমশিম খেয়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। শেষেও অভিষেক দাস-শরীফুল ইসলামদের বোলিংয়ের সামনে ধুঁকেছে তারা। মাঝখানে কেবল ওপেনার যশস্বী জসওয়াল ও তিলক ভার্মা যা একটু প্রতিরোধ গড়েছিলেন। কিন্তু তাতেও বড় সংগ্রহ পায়নি ভারত।
প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ার জন্য বাংলাদেশের দরকার ১৭৮ রান। নির্ধারিত ৪৭.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করেছে ভারত।
রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) পচেফস্ট্রমে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ে নেমে নেমে বাংলাদেশের যুবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে পড়ে যায় ভারতীয় যুবারা। তানজিম হাসান সাকিব আর শরিফুল ইসলাম মিলে প্রথম ৬ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ৮ রান। এরপর ৭ম ওভারে এসেই মেডেন ওভারের পাশাপাশি ১ উইকেট তুলে নেন অভিষেক।
তবে প্রথম উইকেট হারানোর পর থেকেই উইকেট ধরে রাখায় মনোযোগ বাড়ায় ভারত। দুই ব্যাটসম্যান জসওয়াল ও তিলক মিলে উইকেট কামড়ে পড়ে থাকেন। এমনকি মাঝে ৫০ বলে কোনো বাউন্ডারিও হাঁকাননি তারা।
তবে ২৫ ওভারের পর থেকে রান তোলার দিকে ঝুঁকতে শুরু করে ভারত। তবে সাকিবের বলে তিলকের বিদায়ে বড় ধাক্কাই খায় দলটি। শরিফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস।
এরপর দলীয় ১১৪ রানে প্রিয়মকে (৭) হারায় ভারত। ভারতের যুব অধিনায়ককে সাজঘরে ফেরান রাকিবুল হাসান। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মাঝে মাটি লড়াই করতে থাকেন জসওয়াল। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে ১২ রান দূরে থাকতে শরীফুলের বলে তানজিদের হাতে বন্দী হন তিনি। তার ১২১ বলে ৮৮ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চার ও ১ ছক্কায়।
জসওয়ালকে বিদায়ে দেওয়ার বলেই সিদ্ধেশ ভীরকে শূন্যহাতে সাজঘরে ফেরান শরীফুল। এরপর রানআউটের শিকার হয়ে বিদায় নেন উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুয়েল (২২)। রান আউট হন রবিও (২)। এরপর অভিষেক এসে বোল্ড করেন অথর্বকে (৩)।
চলতি আসরের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে স্বপ্নের ফাইনালে ওঠে আকবর আলীর দল। প্রথমবারের মতো আইসিসি’র কোনো ইভেন্টে এবং বিশ্বকাপের মতো কোনো আসরে ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ। তাই প্রত্যাশার পারদটা একটু ওপরেই থাকবে। সেই লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই করেছে যুবারা।