যশোর-৬ (কেশবপুর) শূন্য আসনের উপনির্বাচনে বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি চিত্রনায়িকা শাবানা নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে এ আসনে তার স্বামী ওয়াহিদ সাদিককে এমপি বানাতে চান তিনি।
এরই মধ্যে মনোনয়নপ্রত্যাশী স্বামীকে নিয়ে এলাকায় জনসংযোগও শুরু করেছেন তিনি।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সম্মতি দিলে তার পক্ষে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
গণসংযোগ উপলক্ষে মঙ্গলবার শাবানার শ্বশুরবাড়ি কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামে এক সভার আয়োজন করা হয়।
সেখানে শাবানা তার স্বামীর প্রার্থিতার জন্য সবার মতামত প্রত্যাশা করেন। এ সময় উপস্থিত সবাই হাত তুলে ওয়াহিদ সাদিককে প্রার্থী হওয়ার পক্ষে সমর্থন দেন।
শাবানা বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বিভিন্ন সময় প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে বলেছেন। কিন্তু আমি সন্তানদের সময় দিতে চাই।
তিনি বলেন, কেশবপুর আমার শ্বশুরবাড়ি। এখান থেকে প্রার্থী হলে আমার স্বামীই হবেন। আমি তার জন্য আপনাদের সমর্থন প্রার্থনা করছি।
ওয়াহিদ সাদিক বলেন, কেশবপুর আমার জন্মস্থান। ফলে জন্মস্থানের উন্নয়নে সবসময় কাজ করার তাগিদ বোধ করি। যে কারণে এ অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি হতে আপনাদের সমর্থন কামনা করছি।
যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক ২১ জানুয়ারি মারা যান। জাতীয় সংসদে ২৮ জানুয়ারি আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এর পর আগামীতে কে হবেন উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী- এই প্রশ্নে বিভক্ত হয়ে পড়ে কেশবপুর শাখা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এর মধ্যেই কেশবপুরে শাবানার আগমন উপলক্ষে এলাকায় নতুন মাত্রা পায়। সবাই ধারণা করেন উপনির্বাচনে চিত্রনায়িকা শাবানা হয়তো প্রার্থী হবেন।
কিন্তু গতকাল জনসভায় শাবানা যখন স্বামীর জন্য সমর্থন চান, তখন সবার ভুল ভাঙ্গে।
শাবানার স্বামী ওয়াহিদ সাদিকের বাড়ি কেশবপুরের বড়েঙ্গা গ্রামে। প্রয়াত সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেকের স্বামী প্রয়াত শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেকের বাড়িও কেশবপুরের বড়েঙ্গা গ্রামে। বড়েঙ্গা গ্রামের একই উঠানের দুই প্রান্তে দুজনের শ্বশুরবাড়ি।
শাবানার নিকটজন সাবেক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হালিমের বাড়িও একই উঠানের অপর প্রান্তে।