ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বালুর মাঠে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিজের নিকটাত্মীদের তালিকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সেই তালিকায় নেই বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও ভাতিজা শেখ হেলালরা। প্রধানমন্ত্রীর তালিকায় রয়েছেন শুধু তার দুই ছেলে-মেয়ে, বোন ও তার ছেলে-মেয়ে এবং তাদের মেয়ে জামাইরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ও শেখ রেহানার ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি এবং জামাতারা আমার আত্মীয়। এর বাইরে আমার কোনো আত্মীয় নেই।’
একই দিন সদরপুর স্টেডিয়ামের নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রী তার এ বক্তব্য আরো স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, ‘আমার দুই ছেলে জয় ও মেয়ে পুতুল, শেখ রেহানার তিন ছেলে-মেয়ে ববি, টিউলিপ ও প্রিয়ন্তি এবং তাদের ছেলে-মেয়ের বাইরে আমার কোনো আত্মীয় নেই।’ ১৯৭৫ সালে দুই বোন তিনি ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পান বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর চরভদ্রাসন) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। ওই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী)। এই নিক্সন নিজেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি বলে পরিচয় দেন। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার তার নিকটাত্মীয়দের তালিকা প্রকাশ করলেন ফরিদপুরে।
এর আগে বর্তমান সরকারের সময় কেউ যাতে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে কোনো সুবিধা নিতে না পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বিবৃতিও দেন। কারা কারা তার আত্মীয় তার একটা ফিরিস্তিও তুলে ধরেন: বোন, বোনের ছেলেমেয়ে এবং নিজের ছেলেমেয়ে। এ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয় বলতে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা এবং তার ছেলে-মেয়েকেই বুঝতে হবে।
তবে শেখ হাসিনার আরো নিকটাত্মীয় রয়েছেন। তারা হলেন- বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ নাসেরের জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ হেলাল। বোনের ছেলেমেয়েদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর ছিলেন ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি। তার দুই ছেলে শেখ ফজলে শামস ও শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি।
বঙ্গবন্ধুর আরেক ভাগ্নে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বর্তমানে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শেখ হাসিনার সহচর বলে পরিচিত। শেখ ফজলুল হক মনির মৃত্যুর পর এই পরিবারের প্রধান হন শেখ সেলিম। তাদের অন্য ভাই হলেন শেখ মারুফ।