“করোনা ভাইরাসের হানায় বিধ্বস্ত চীন। বিশ্বের একাধিক দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশও সচেতন হয়ে উঠেছে। কিন্তু করোন ভাইরাস পরীক্ষা করতে গিয়ে যেন ছেলেখেলা শুরু করেছে বাংলাদেশের প্রশাসন।” এমনটা জানিয়েছে কলকাতার জনপ্রিয় অনলাইন জিনিউজ২৪।
ওই সংবাদে জানানো হয়, ব্রাহ্মণবেড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য হেলথ ডেক্স গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে এই মারণ রোগ পরীক্ষা করার জন্য কোনও আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই। ফলে থার্মোমিটার ও স্টেথিস্কোপ নিয়ে চলছে মারণ ভাইরাস পরীক্ষা।
করোনা ভাইরাস চীনে মহামারীর আকার ধারণ করেছে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রতিটি ইমিগ্রেশন-এ স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে হেলথ ডেক্স গঠন করা হয়েছে। একজন করে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং কমিউনিটি হেলথ প্রোপাইটর-এর মাধ্যমে হেলথ ডেস্ক পরিচালনার কাজ চলছে। কিন্তু পরীক্ষার ক্ষেত্রে কেন এমন দায়সারা মনোভাব দেখানো হচ্ছে! তার উত্তর কারও কাছে নেই।
হেলথ ডেস্ক পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা স্বীকার করে নিচ্ছেন, তাদের কোনওরকম আধুনিক যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়নি। তাইথার্মোমিটার ও স্টেথিস্কোপ দিয়েই যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।
চীন থেকে আসা কোনও যাত্রীর সর্দি-কাশি প্রমাণিত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে পরীক্ষা করানো হবে। এমনই জানিয়েছেন হেলথ ডেস্ক-এর দায়িত্বে থাকা কর্তারা।
কিন্তু থার্মাল স্ক্যানার মেশিন কেন বসানো হয়নি? সদুত্তর দিতে পারছেন না কেউ। এই ইমিগ্রেশন দিয়ে রোজ এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করে থাকেন। তা হলে কেন এমন ছেলেখেলা!