ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিলো ইইউ পার্লামেন্টে। আজ বুধবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় ইইউ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিটের ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ব্রেক্সিটের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন পার্লামেন্ট সদস্যরা। বুধবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৭৫১ জন সদস্য ভোটে অংশ নেন। আজকের অনুমোদনের পর ব্রেক্সিটে আর কোন বাঁধা থাকবে না। আগামী ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় রাত ১১ থেকে ব্রেক্সিট কার্যকর হয়ে যাবে। আজকের বৈঠকে অনেক এমইপিই আবেগঘন বক্তৃতা রাখেন। কেঁদেও ফেলেছেন কেউকেউ। গতকাল মঙ্গলবার শেষ বারের মতো সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেয় যুক্তরাজ্য। দেশটির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন কেবিনেট মন্ত্রী ক্রিস পিনশার।
এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সংসদ সদস্যদের অনুমোদনের জন্য উত্থাপিত হয় এবং ৩৫৮-২৩৪ ভোটে পাশ হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি করে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে তখন সমালোচকরা এই সময়সীমাকে অবাস্তব বলে বর্ণনা করেন। শেষ পর্যন্ত বরিস জনসনেরই জয় হতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ৪০ বছরের বেশি সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে থাকার পর ২০১৬ সালের ২৩শে জুন গণভোটের আয়োজন করেছিল যুক্তরাজ্য। এতে সেদেশের নাগরিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল – যুক্তরাজ্যের কি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে থাকা উচিত নাকি উচিত না? ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে, আর থাকার পক্ষে ছিল বাকি ৪৮ শতাংশ ভোট। তারপর বহু চড়াই উতরাই পেরিয়ে সাড়ে তিন বছর ইউ-ইউকে বিচ্ছেদ ঘটতে যাচ্ছে।