ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার ইঙ্গিত দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
সাঈদ খোকনের বিষয়ে দুদকের নীরবতা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’।
দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা -২০২০ উপলক্ষে সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মেয়র খোকনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের পরও তার ব্যাপারে নীরবতা, অথচ তার এপিএসকে দুদকে তলব নিয়ে প্রশ্ন করলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা নীরব না, আমাদের যে চোখ নেই, তা না। দুর্নীতি যেখানেই ঘটেছে, সেখানেই তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং আমার জানা মতে, অলরেডি একটি মামলা হাইকোর্টে আছে যে কোনো একজনের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ১০% বা ৫%, এসব বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে দুর্নীতি হয়েছে কিনা। সেটা যদি ১ শতাংশও হয়, সেটাও দুর্নীতি। ওয়েট অ্যান্ড সি। দুর্নীতিটা কীভাবে ঘটেছে, সেটা যদি পিএস, এপিএসরা বলতে পারে, আমরা খুঁজে বের করব। সুতরাং চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই, যে আমরা পিএস, এপিএস দিয়ে শেষ করবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘পিএস, এপিএস ছাড়াও যারা যুক্ত ছিলেন, যুক্ত হয়েছেন বা যুক্ত আছেন, আমরা খুঁজে বের করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনবো। আপনারা দেখেছেন, কাউকে ডাকতে আমাদের কলম কাঁপেনি। আমরা ডাকি, তাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমরা বলতে চাই, আপনি আপনার বক্তব্য বলে যান। বক্তব্য যদি সঠিক হয়, আমরা তা গ্রহন করি। সঠিক না হলে তা অন্যভাবে শনাক্ত করার চেষ্টা করি’।
গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনের এপিএস শেখ কুদ্দুসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে। তলবি নোটিশে তাকে আগামি ২১ জানুয়ারি হাজির হতে বলা হয়েছে।
ওই অভিযোগে বলা হয়, ঠিকাদার জিকে শামীমসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাত, ক্যাসিনো ব্যবসা ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।