বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছে মিয়ানমার। দেশটি দাবি করেছে, বাংলাদেশ ইচ্ছা করেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বন্ধ রেখেছে।
মঙ্গলবার নেইপিডোতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের মুখপাত্র জাও হাওটে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ অভিযোগ আনেন। তিনি কক্সবাজারের উদ্বাস্তু শিবিরে বসবাসরত রাখাইন রাজ্যের সাত লাখেরও বেশি শরণার্থী প্রত্যাবাসনের জন্য দ্বিপক্ষীয় চুক্তি মেনে চলতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান।
জাও হাওটে বলেন, বাংলাদেশ সহযোগিতা না করা পর্যন্ত এ সমস্যা অব্যাহত থাকবে। ১৯৯৩ সালেও একই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে বাংলাদেশের সহযোগিতার কারণে সেই সময়ে সফলভাবে প্রত্যাবাসন হয়েছিল।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে অবস্থিত উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা অনুপ্রবেশ করেছে। সেখানে মাদকের ব্যবহার ব্যাপকহারে বেড়ে চলছে। আরসার কর্মীরা কেবল তাদের নিজস্ব লোককে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করার অনুমতি দেয়। তিনি বলেন, উত্তর রাখাইনে যেসব শরণার্থী তাদের গ্রামে ফিরে যেতে চান তারা ভয় পাচ্ছেন। কেননা তারা ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলে আরসা তাদের পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। যারা রাখাইনে ফিরে আসতে চান তাদের গোপনে এটি করতে হবে।
বাংলাদেশ সহযোগিতা না করলে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলিতে মানবিক সঙ্কট আরো বাড়বে উল্লেখ করে মুখপাত্র বলেন, এর দায় পুরোপুরি বাংলাদেশকে নিতে হবে। মিয়ানমার অনেক আগে থেকে প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। প্রত্যাবাসনে বিলম্বের কারণে শরণার্থীদের জীবনযাত্রার মান আরো খারাপ হচ্ছে। শিশু এবং প্রবীণরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ৪১৫ জন শরণার্থী স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে গেছে উল্লেখ করে হাওটে বলেন, চীন ও জাতিসঙ্ঘের সহায়তায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে বলে মিয়ানমার আশাবাদী।