লন্ডন ১২ নভেম্বর ২০১৯: আগামী ২৫ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় বাটারসি পার্কের লন্ডন ইভোলুশনে বসছে ১৫তম বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডসের জমজমাট আসর। অনুষ্ঠানের আয়োজনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছে বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডস টিম। এবারের বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের থিম হচ্ছে ‘নিউ ইয়র্ক ব্রডওয়ে’। প্রতি বছরই এই অনুষ্ঠানে কিছুনা কিছু নতুনত্ব থাকে। এবারের অনুষ্ঠান গত ১৪টি অনুষ্ঠানের চেয়ে চমকপ্রদ হবে বলে জানিয়েছেন বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডসের প্রবর্তক এনাম আলী এমবিই।
কারি অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন নিয়ে কথা হয় এনাম আলী এমবিই’র সাথে। তিনি বলেন, এবারের অনুষ্ঠানে এমন কিছু থাকবে যা ইতোপুর্বে কখনও ছিলো না। ‘নিউ ইর্য়ক ব্রডওয়ে’ থিম সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা প্রতি বছরই একটি থিমকে সামনে রেখে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করি। ইতিপুর্বে আমরা ভিন্ন ভিন্ন থিমের ওপর অনুষ্ঠান করেছি। বাংলাদেশের প্রখ্যাত বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমকে কারি অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে তুলে ধরেছি। এবার তুলে ধরবো ’নিউ ইয়র্ক ব্রডওয়ের সংস্কৃতিকে’। তিনি বলেন, কারি অ্যাওয়ার্ডসের মুল লক্ষ্য হচ্ছে বৃটিশ কারিকে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি দেয়া এবং বিশ্বের সাথে কারি শিল্পের সংযোগ স্থাপন করা। নিউ ইয়র্ক ব্রডওয়ের সংস্কৃতি তুলে ধরার মধ্য দিয়ে বৃটিশ কারিকে নিউ ইয়র্কের সাথে পরিচিত করতে চাই। বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডে প্রতি বছরই মুলধারার রাজনীতিক, মন্ত্রী, এমপি, সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজন অতিথি হয়ে আসেন। এবারের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে কারা থাকছেন- জানতে চাইলে এনাম আলী বলেন এ বছর আমরা মন্ত্রী এমপিদের চেয়ে বৃটিশ সেলিব্রেটিদের অগ্রাধিকার দেবো। একটু ভিন্নতা আনতে চাই অনুষ্ঠানে। থাকবে ইন্টারন্যাশাল কোরিগ্রাফারের নৈপুণ্যে বিশ্বমানের লাইভ এন্টারটেইনমেন্টসহ আরো অনেক সারপ্রাইজ।
এনাম আলী বলেন, তিনি বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডস আয়োজন করেন কারি ইন্ডাষ্ট্রির প্রচার ও প্রসারের জন্য। নিজের খ্যাতি অর্জন কিংবা ব্যবসার উদ্দেশে নয়। এটি তাঁর পারিবারিক উদ্যোগ এবং নিজ খরচেই হয়ে থাকে। কখনো কি বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডস থেকে মুনাফা করতে পেরেছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু একটি বছরের অনুষ্ঠানে ব্রেক ইভেন হয়েছিলো। আর সব বছরই নিজের পকেট থেকে খরচ যোগান দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের মান বজার রাখার ব্যাপারে আমি কখনো আপোস করতে পারিনা তাই সবসময় বাড়তি ব্যয় করতে হয়। তবে ভবিষ্যতে কারি অ্যাওয়ার্ডসকে চ্যারিটি রেজিস্টার্ড করবেন বলে জানান।
তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিলো, কারি অস্কার হিসেবে খ্যাত এই অনুষ্ঠানটি কি আপনার অবর্তমানে বেঁচে থাকবে- জবাবে এনাম আলী বলেন, আমার পরিবার অনুষ্ঠানটির সাথে সম্পৃক্ত। ছেলে মেয়েরা এই অনুষ্ঠানকে ধরে রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে অনুষ্ঠানটি যাতে শত বছর বেঁচে থাকে এমন কিছু করার পরিকল্পনা আছে।