পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ‘মাদকাসক্ত’ নূর হোসেনকে পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা।
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী অফিস মিলনায়তনে জাপা মহানগর উত্তরের আয়োজনে ‘গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাপা মহাসচিব বলেন, এমপি ও মন্ত্রীদের বাড়িতে ডাকাত ও খুনিদের আশ্রয়স্থল হয়েছিল বলেই সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার দেশকে বাঁচাতে এরশাদকে দায়িত্ব দেন। এরশাদ ছিলেন গণতন্ত্রের ধারক-বাহক।
তিনি আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে। যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নুসরাত ও বিশ্বজিৎকে হত্যা হয়, একজন অধ্যক্ষকে ছাত্ররা পানিতে ফেলে দেয়, আমরা সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাই না। ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর এরশাদ যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, এখন আর সেই গণতন্ত্র নেই।
মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ১৯৯৬ সালে জাপার সমর্থনে ২১ বছর পরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করে। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন লেভেলের কর্মীরাও স্থানীয় জাপার নেতাকে হুমকি-ধামকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, এখন সোনার ছেলেদের ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির ইতিহাস বের হচ্ছে। কিন্তু এতোদিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সোনার ছেলেদের দেখেনি। তাদের দৃষ্টি ছিল শুধু রাজনৈতিক নেতাদের দিকে।
গণতন্ত্র দিবসে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, যুগ্ম মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহজাদা, শ্রমিক পার্টির সভাপতি এ কে এম আশরাফুজ্জামান খান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান আমানত হোসেন আমানত, মোস্তাকুর রহমান, হেনা খান পন্নি, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ইসহাক ভূঁইয়া, নাসির উদ্দিন সরকার, সুলতান মাহমুদ, এম এ রাজ্জাক খান, ডা. সেলিমা খান, কাজী আবুল খায়ের, হুমায়ন খান, আহাদ চৌধুরী শাহীন, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সাত্তার, এম এন সেলিম, তাসলিমা আকবর রুনা, এস এম হাশেম, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, রিয়াজ আহমেদ, বজলুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, নজরুল ইসলাম সরকার প্রমুখ।