ইডেন মহিলা কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের ছাত্রলীগ নেত্রীদের দুই পক্ষে সংঘর্ষে হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, হলে বহিরাগত থাকা নিয়ে শনিবার ভোরে এ সংঘর্ষ হয়।
ঘটনার পর কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবা নাসরিন রুপা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে ২১৯ নং কক্ষে নাবিলা নামের একজন বহিরাগত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে টাকার বিনিময়ে রাখতেন।
তাকে রাখাকে কেন্দ্র করে হলে অন্য নেত্রীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রুপা তার অনুসারীদের নিয়ে অন্য নেত্রীদের ওপর হামলা করেন।
এসময় সাবিকুন্নাহার তামান্নার হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে কোপ দেন রুপা। আহত তামান্নাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া যুগান্তরকে বলেন, সকালে আহত অবস্থায় ইডেন কলেজের ছাত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্নাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার হাতে দায়ের কোপ লেগেছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বঙ্গমাতা হলের এক শিক্ষার্থী যুগান্তরকে বলেন, ‘প্রথমে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আনজুমান আরা অনুর অনুসারী ছাত্রলীগ সদস্য তামান্নাসহ কয়েকজন পাঁচতলা থেকে দোতলায় আসেন রুপার অনুসারী নাবিলা ও তার বোনকে হল থেকে বের করে দেয়ার জন্য।
এসময় সাবিকুন্নাহার তামান্নাসহ রুপার অনুসারীরা অনুর অনুসারীদেরকে আক্রমণ করেন। এক পর্যায়ে অনুর অনুসারী ছাত্রলীগের সদস্য তামান্নার হাতে কোপ লাগে। পরে রুপার অনুসারী নাবিলার বোনকে (বহিরাগত) কোপ মারে অনুর অনুসারীরা।
এতে নাবিলার বোনের ঘাড়ে কোপ লাগে। পরে অনুর অনুসারী আর রুপার অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুপা যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি এমন কোনো সমর্থক তৈরি করিনি যারা রুমে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করবে। ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আনজুম আরা অনু আমার সমর্থকদের প্রত্যেক হলে গিয়ে মারধর করেছে। পরে রাজিয়া হলের ২০৮ নং কক্ষে গিয়ে আমার একটি আইফোন ১৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে সে।’
তিনি বলেন, আমি প্রথমে খবর পেয়েছিলাম নাবিলা নামে একটা মেয়েকে মারধর করেছে। খবর পেয়ে আমি গেলে আমার কাপড় ছিঁড়ে দেয়, বাইরে বের হওয়ার মত অবস্থা ছিল না।
এ বিষয়ে আনজুমান আরা অনু যুগান্তরকে বলেন, সংঘর্ষের সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। আমি পরে এসেছি। এসময় তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন ‘আপনার পেশাই তো আমার বিরুদ্ধে নিউজ করা, আপনাদেরক খেয়ে আর কোনো কাজ নেই।’ তবে কাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে এটা ইডেন কলেজ অধ্যক্ষের ভালো বলতে পারবেন বলে জানান অনু।
লালবাগ থানার ওসি একেএম আশরাফ উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা শুনেছি হলে মেয়েদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
London Bangla A Force for the community…
