পারিশ্রমিক বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দাবি-দাওয়া না মানলে আন্দোলন থেকে সরবেন না তারা। পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকালে বিসিবিতে সাংবাদ ব্রিফিং করেছেন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। টাকার জন্য ক্রিকেটারদের খেলা বন্ধ করার মাঝে ষড়যন্ত্র দেখছেন তিনি।
বোর্ড প্রধান বলেন,আগে আমরা খেলোয়াড়দের সব কথা শুনেছি। তাদের চাওয়া-পাওয়া পূরণ করেছি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দলকে ২৪ কোটি টাকা বোনাস দিয়েছি।নিয়মিত তাদের বেতন বাড়িয়েছি। অথচ টাকার জন্য খেলা বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। তাদের আচরণ অপ্রত্যাশিত-অবিশ্বাস্য।
পাপন বলেন,ক্রিকেটাররা দাবি করেছে-বিপিএলের আগামী আসর ফ্র্যাঞ্চাইজিত্তিক হতে হবে। কিন্তু আগেই ঘোষণা করা হয়েছে এবার তা হবে না। এ নিয়ে কিছু বলার দেখি না। তারা স্টেডিয়ামে সুযোগ-সুবিধা চেয়েছে।আর কি সুবিধা দেব তাদের। চট্টগ্রামে জিমনেশিয়াম করে দিয়েছি। সিলেটে জিমনেশিয়াম দেয়া হয়েছে। আমরা নিয়মিত ক্রিকেটের উন্নয়ন করছি। সব অযাচিত দাবিতে আন্দোলন তাদের।
নেপথ্য কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন,আমার মনে হয়, ক্রিকেটাররা বিদেশি কোচের অধীনে খেলতে চায় না। তারা সম্ভবত দেশীয় কোচ চায়। সেজন্য এমন করছে। আমি মনে করি, ক্রিকেট নিয়ে একটা মহলে চক্রান্ত হচ্ছে।
সামনে ভারত সফর। আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। চলছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগ। ঠিক এ মুহূর্তে আন্দোলনে নেমেছেন ক্রিকেটাররা। দাবি না মানলে কোনো ধরনের ক্রিকেটই খেলবেন না তারা।
বিসিবি বস বলেন,ভারত সফরে না গেলে আইসিসি থেকে বড় প্রতিক্রিয়া আসবে। দাবিগুলো আমাদের জানালে আমরা মেনে নিতাম। অথচ মিডিয়ার সামনে বলেছে তারা। এটা একটা ষড়যন্ত্র। দু’একজন শীর্ষ তারকা সেটা জানে। তারা দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তবে একটি জায়গায় সফল খেলোয়াড়রা। ক্রিকেট বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে পেরেছে।
ক্রিকেটারদের সমস্যা সমাধান নিয়ে পাপন বলেন, বিসিবির কাছে কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেয়নি। তাই তাদের অপেক্ষা করা ছাড়া কিছু করার নেই। ভারত সিরিজের অনুশীলন ক্যাম্প সূচি অনুযায়ী শুরু হবে। যারা যাবে তারা যাবে। যারা যাবে না, তারা যাবে না। এ নিয়ে বিসিবির কিছুই করার নেই।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের হার ছিল অপ্রত্যাশিত। বিপিএল থেকে যেকোনো ক্রিকেটে ফিক্সিং হয়েও থাকতে পারে। শিগগির ম্যাচ পাতানোর গুমর ফাঁস করা হবে। তবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনার পথ খোলা আছে।