রাজশাহীর চারঘাট সীমান্তে আটক ভারতীয় জেলে প্রণব মণ্ডলের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ও মা ইলিশ ধরার অপরাধে মামলা দায়ের করেছে বিজিবি।
শুক্রবার বিজিবির ক্যাম্পের হাবিলদার হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে চারঘাট থানায় মামলাটি করেন।
মামলার পর প্রণব মণ্ডল গ্রেফতার দেখিয়ে বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
দুপুরে শুনানি শেষে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রণব মণ্ডল ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার সাহেবনগর ছিড়াচর এলাকার বসন্ত মণ্ডলের ছেলে।
চারঘাট থানার ওসি সমিত কুমার কুণ্ড যুগান্তরকে বলেন, বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ও বাংলাদেশ সরকারের মা ইলিশ সংরক্ষণ আইন অমান্য করে পদ্মায় ইলিশ ধরার অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর চারঘাট সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় এক বিএসএফ সদস্য নিহত হন।
বেআইনিভাবে পদ্মা নদীতে ভারতীয় জেলেদের ইলিশ শিকারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি বলছে, সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে চারঘাট বিওপি থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিম দিকে এবং সীমান্ত পিলার ৭৫/৩-এস থেকে ৫০০ মিটার বাংলাদেশের ভেতরে চারঘাট থানার শাহরিয়ার খাল এলাকায় মাছ ধরছিলেন তিন ভারতীয় জেলে। ওই সময় সেখানে মা ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পদ্মা নদীতে অভিযান চলছিল।
ওই সময় তিন জেলেকে আটক করার চেষ্টা করলেও দুইজন পালিয়ে যান। একজনকে জালসহ আটক করার পর বিজিবি কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন যে ওই জেলেরা ভারতীয় নাগিরক।
এর কিছুক্ষণ পর ১১৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কাগমারি ক্যাম্প থেকে চার সদস্যের একটি টহল দল স্পিডবোট নিয়ে ‘অনুমতি ছাড়া’ শূন্য রেখা অতিক্রম করে ‘অবৈধভাবে’ বাংলাদেশের ভেতরে ৬০০-৬৫০ গজ প্রবেশ করে। নদীর এ পাড়ে বিজিবি টহল দলের কাছে এসে তারা আটক ভারতীয় নাগরিককে ছেড়ে দিতে বলেন।
তখন বিজিবি টহল দল আটক ভারতীয় নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান। কিন্তু তারা ভারতীয় নাগরিককে বিজিবির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে বিজিবি সদস্যরা বাধা দিলে তাদের উপর ৬/৮ রাউন্ড গুলি চালায় বিএসএফ।
আত্মরক্ষার জন্য বিজিবি টহল দল পাল্টা ফাঁকা গুলি করলে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করতে করতে দ্রুত চলে যায়।’