পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণার পরপরই ‘আলাদিনের চেরাগ’ হাতে পেয়েছেন সাভারের বাইপাইল বাজারের আড়তদাররা।
আগে থেকে মজুত করা পেঁয়াজে কপাল খুলেছে তাদের। অতিরিক্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা।
৩০-৩৫ টাকা দামে কেনা এসব পেঁয়াজ বর্তমানে পাইকারিতে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। বাড়তি মুনাফা নিজেদের পকেটে ভরছেন আড়তদাররা। এতে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
বাইপাইল বাজার ঘুরে জানা যায়, রাজধানীর পাশে হওয়ায় কাঁচা-পাকা ফল ও সবজির জন্য অন্যতম আড়ৎ বাইপাইল বাজার। এই আড়তে মজুতে ঘাটতি না থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফার লোভে পেঁয়াজের বাজার অস্থির করে তুলছেন আড়তদাররা। মুনাফার লোভে পেঁয়াজের বাজারে তৈরি করেছেন কৃত্রিম সংকট। পেঁয়াজ মজুত করে বিক্রিতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন তারা।
আগে মজুত করা এসব পেঁয়াজের অতিরিক্ত দাম নেয়ার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বাইপাইল বাজারের অন্যতম পেঁয়াজ আড়তদার মিনহাজ ট্রেডার্সের মালিক মিনহাজুল ইসলাম বলেন, কেনা মূল্য বেশি হওয়ায় বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ না করলেও এ সময়ে পেঁয়াজের দাম বাড়া স্বাভাবিক।
বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার পরদিনই এক লাফে পাইকারি কেজিপ্রতি ৩০-৩৫ টাকা বাড়িয়ে দেন আড়তদাররা। অথচ দুদিন আগেও আড়তে পাইকারিতে ৫৫-৬০ টাকা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। গত দুদিনে আমদানি না হওয়া সত্ত্বেও হাজার টন পেঁয়াজ মজুত রয়েছে আড়তে।
বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দুদিন আগে এসব পেঁয়াজ ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারিতে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা দুদিন আগে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
স্থানীয় ক্রেতারা বলছেন, রফতানি বন্ধ না হলেও পেঁয়াজের দাম বাড়াতেন তারা। কিন্তু রফতানি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশাল একটা সুযোগ পেয়েছেন তারা। এ সুযোগে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন আড়তদাররা।