আইনি সেবায় অনুরণীয় ও ব্যতিক্রমধর্মী অবদান রাখায় বাংলাদেশী বংশোদ্ভোত বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ল ফার্ম “লিংকন্স চ্যাম্বারস সলিসিটরস” মেইনস্ট্রিম প্রেস্টিজিয়াস এওয়ার্ড ২০২৩/২৪ কর্তৃক “Immigration Law Firm of the Year” এওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে। গিলফোর্ডের ওয়াকিং শহরে এক অভিজাত হোটেলে এক অনাড়ম্বর অনুষ্টানে ২৮ আগষ্ট ব্যাংক হলিডে সোমবার সন্ধ্যায় এই এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। সাথে দেয়া হয় ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও ওয়াল প্লাগ। প্রেস্টিজিয়াস ম্যাগাজিনে ব্যারিস্টার নাজির আহমদ ও তার ফার্মের উপর দুই পৃষ্টার বায়োগ্রাফি ও বিবরণ সবিস্তারে ছাপা হয়। অত্যন্ত ইন্টেনসিভ ও রিগোরিয়াস সিলেকশন প্রসেসের মাধ্যমে মেইনস্ট্রিম এওয়ার্ড কমিটি Lincoln’s Chambers Solicitors’কে “Immigration Law Firm of the Year” হিসেবে বিজয়ী ঘোষনা করেছেন।
লিংকন্স চ্যাম্বারস সলিসিটরস ইমিগ্রেশন, হিউম্যান রাইটস ও এসাইলাম আইনে অভিজ্ঞ ও স্পেশিয়ালিষ্ট। গত দেড় যুগ ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে মেইনস্ট্রিমে প্র্যাকটিস করে যাচ্ছে।এর প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালক ও কর্নধার হচ্ছেন ব্যারিস্টার নাজির আহমদ। সাধারণ এডভাইস ও আবেদন থেকে শুরু করে বৃটেনের সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত ক্লাইন্টকে দক্ষতার সাথে রিপ্রেজেন্ট করার যোগ্যতা ও দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে এই ল ফার্মের।
এই সম্মাননা পাবার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বলেন “আমি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে এই প্রেস্টিজিয়াস এওয়ার্ড গ্রহন করেছি। ক্লাইন্টস ও তাদের স্বার্থ আমি ও আমার ফার্মের সব কর্মকান্ডের মূল কেন্দ্রবিন্দু। এই স্বীকৃতি আমার দায়িত্ব ও দ্বায়বদ্ধতাকে আরও বাড়িতে দিল। প্রথমেই মহান আল্লাহপাকের শুকরিয়া জানাই। আমার সহকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ, কেননা তাদের প্রানান্তকর প্রচেষ্টা, একাগ্রতা, কঠোর পরিশ্রম ও সহযোগীতা ছাড়া আমি ও আমার ল ফার্ম এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না। আমার স্ত্রী ও সন্তানদের আন্তরিক ধন্যবাদ, কারণ তাদের সাপোর্ট, ধৈর্য ও সাহায্য ছাড়া প্রচন্ড ব্যস্ত প্রফেশন আইন পেশাসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারতাম না।”
তিনি আরো বলেন “যে কোন আবেদন বা মামলার মেরিটের (গুনগত মানের) ব্যাপারে যথাযথ, আইনগত ও সঠিক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করেছি উদাহরণ ও যুক্তিসহ – অযথা বাড়িয়ে বলিনি বা কমিয়ে বলিনি। সাদাকে সাদা বলেছি, কালোকে কালো। বিনিময়ে পেয়েছি অগণিত মানুষের শ্রদ্ধা, সম্মান, স্নেহ ও অকৃত্রিম ভালবাসা। সততাই মানুষের জীবনের বড় সম্পদ। পেশাগত জীবনে সততা, বিবেক ও মহান পরাক্রমশালী মা’বুদের কাছে জবাবদিহীতাবোধ দ্বারা তাড়িত হয়ে চলার চেষ্টা করেছি।এই সম্মাননা আইনের জগতে আরো বেশি কাজ করতে আমাকে নিঃসন্দেহে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে।”
বিলেতপ্রবাসী ব্যারিষ্টার নাজির আহমদ ব্রিটেন তথা ইউরোপের সুপরিচিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও লব্ধপ্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলাধীন দৌলতপুর ইউনিয়নের বাহারা দুবাগ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। ছোট বেলা থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। বাংলাদেশে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের মেধা তালিকায় স্থান ও মেধাবৃত্তি লাভ করে নব্বই দশকের গোড়ার দিকে বিলেত গমন করেন। তিনি লন্ডন ইউনিভার্সিটির কুইনমেরী থেকে এলএলবি (অনার্স) ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রী কৃতিত্বের সাথে অর্জন করেন। পরে বিশ্বখ্যাত লিংকন্স ইন থেকে ১৯৯৯ সালে কৃতিত্বের সাথে বার-এট-ল ডিগ্রি লাভ করেন। ব্যারিষ্টার নাজির আহমদ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন এডভোকেট এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের একজন সদস্য। তিনি ব্রিটেনের স্বনামধন্য চার্টার্ড ইনষ্টিটিউট অব্ আরবিট্রেটরস্-এর একজন “ফেলো”। তিনি লন্ডন ইউনিভার্সিটির এলোমনাই এ্যামবেসেডর ও লন্ডন মেয়র অফিসের ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাস্টডি ভিজিটর ছিলেন।
ব্যারিষ্টার নাজির আহমদ শক্তিমান লেখক ও বিশ্লেষক। তিনি বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিকে সংবিধান, আইন ও সমসাময়িক বিষয়ের উপর লিখে থাকেন। এ পর্যন্ত তার বাংলা ও ইংরেজিতে ছয়টি বই প্রকাশিত হয়েছে। বিলেতে বাঙালি কমিউনিটিতে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ব্যারিষ্টার নাজির আহমদ কমিউনিটির স্বনামধন্য ও নামি-দামি পাঁচ ডজনের অধিক সংগঠনগুলোর নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আলাদা এক অবস্থান ও আস্থার জায়গা তৈরী করে নিয়েছেন। তিনি লন্ডন বারা অব নিউহ্যামের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং টানা তিন টার্মের নির্বাচিত ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। বিভিন্ন প্রয়োজনে তিনি এ পর্যন্ত পৃথিবীর ৫৫টি দেশ সফর করেন।