ব্রেকিং নিউজ
Home / খেলাধুলা / অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ভারত, আফগানিস্তানের চমক

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ভারত, আফগানিস্তানের চমক

২৭ মার্চ ২০১৬: অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়ে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। দিনের অন্য ম্যাচে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচটা জিতে চমক দেখিয়েছে আফগানিস্তান।
পাঁচবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাটা এখনও অধরা থেকে গেছে অস্ট্রেলিয়ার। এবার সেই আক্ষেপ ঘোঁচানোর প্রত্যয় নিয়েই ভারতে এসেছিল অসিরা। কিন্তু তাদের অপেক্ষাটা আরও বাড়িয়ে দিল স্বাগতিক ভারত।  ৫১ বলে ৮২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন বিরাট কোহলি। শুরুতে চাপে মুখে পড়লেও চতুর্থ উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও যুবরাজ সিং। ১৪তম ওভারে ক্রমশ বিপদজনক হয়ে ওঠা এই জুটি ভেঙে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে স্বস্তি ফেরান জেমস ফকনার। ২১ রান করে ফিরে যান যুবরাজ। এই পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা জিতেই যাবে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বরাবরের মতো দারুণ ব্যাটিং করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন কোহলি।  ধোনি অপরাজিত ছিলেন ১৮ রান করে। পঞ্চম উইকেটে তাঁরা গড়েছিলেন ৩১ বলে ৬৭ রানের ম্যাচজেতানো জুটি।

ওদিকে সুপার টেন পর্বেও প্রতিটি ম্যাচেই ভালো নৈপুণ্য দেখিয়ে নজর কেড়েছিলেন আফগান ক্রিকেটাররা। শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলগুলোকেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে বেশ কষ্ট করতে হয়েছিল। আর আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ তো হেরেই গেল ৬ রানের ব্যবধানে।

শুরুতে ফিল্ডিং করে আফগানিস্তানকে মাত্র ১২৩ রানেই আটকে রেখেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দারুণ ফর্মে থাকা ক্যারিবীয়দের জয় নিশ্চিত বলেই হয়তো ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু বল হাতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকে দিয়েছে ১১৭ রানে। পেয়েছে ৬ রানের স্মরণীয় এক জয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে এটিই আফগানিস্তানের প্রথম জয়। এর আগের তিনটি আসরের চূড়ান্ত পর্বে একটিও জয় পায়নি আফগানরা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের ফলে নিউজিল্যান্ডের মতো অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে অংশ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে এক নম্বর গ্রুপ থেকে শীর্ষস্থান দখল করেই শেষ চারে পা রেখেছে ক্যারিবীয়রা। গড় রান রেটের হিসাবে ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলেছে ২০১২ সালের শিরোপাজয়ীরা।