ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / ৩৫০০০ পাউন্ডের কম আয় করলে যুক্তরাজ্য থেকে বহিষ্কার

৩৫০০০ পাউন্ডের কম আয় করলে যুক্তরাজ্য থেকে বহিষ্কার

১৪ মার্চ ২০১৬: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশের নাগরিক নন, কিন্তু বার্ষিক আয় ৩৫০০০ পাউন্ডের কম, এমন শ্রমিকদের যুক্তরাজ্য থেকে বহিষ্কার করা হবে। ১০ বছরের কম সময় ধরে বৃটেনে বসবাসরত নন-ইইউ বাসিন্দাদের বেলায় এ নীতি প্রযোজ্য হবে। বৃটিশ সরকার নতুন এক অভিবাসন নীতিমালায় এই নিয়মের কথা ঘোষণা করেছে। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। ৬ই এপ্রিল থেকে এ নতুন আইন কার্যকর হবে। তবে নার্সিং-এর মতো কিছু চাকরি এ বিধিমালার আওতামুক্ত থাকবে না। কিন্তু এ বিধিমালাটি বাতিলের জন্য একটি পিটিশন দাখিল হয়েছে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে। সেখানে লক্ষাধিক বৃটিশ নাগরিক স্বাক্ষর করেছেন। নিয়মানুযায়ী বিষয়টি এ সপ্তাহে পার্লামেন্টে আলোচিতও হয়েছে। কিন্তু বৃটিশ সরকার নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। সরকারের যুক্তি, নতুন নীতিমালাটি ন্যায্য। প্রস্তুতি নেয়ার জন্য মানুষ অনেক সময় পেয়েছে। এবার ছাঁটাইয়ের পালা। প্রসঙ্গত, বিরোধী দল লেবার, স্কটল্যান্ডের বৃহত্তম দল এসএনপি এবং গ্রিন পার্টির সমর্থন পেয়েছে পিটিশনটি।

অপরদিকে বৃটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, আগে থেকেই অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুব সহজে বিদেশ থেকে শ্রমিক আনতো। অথচ, দেশে আমাদের শ্রমশক্তিকে দক্ষ করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা তারা নেয়নি। এ নীতিমালার প্রভাব পর্যালোচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ধারণা করছে যে, নতুন বেতনসীমার কারণে বৃটেনের অর্থনীতিতে বাড়তি খরচ হবে ১৮ কোটি ১০ লাখ থেকে ১৭ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড। তবে অন্য কিছু সংগঠন বলছে, ৭৬ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড পর্যন্ত যেতে পারে। বৃটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তি দিয়ে বলেছে, যুক্তরাজ্যে সাময়িক কাজের জন্য এসে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ায় আমরা বিশ্বাস করি না। মাইগ্রেশন অ্যাডভাইজরি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ীই ৩৫ হাজার পাউন্ডের আয়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্রমবাজার বিষয়ে অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের নিয়ে ওই নিরপেক্ষ কমিটি গঠিত হয়েছিল। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এ নীতিমালায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত আমেরিকান ও অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকরা। এক বছরে ৩৫ হাজার ডলারের বেশি আয় করতে না পারলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের ফেরত পাঠানো হতে পারে।