ব্রেকিং নিউজ
Home / বাংলাদেশ / শিশু রাজন হত্যায় মুহিদ রিমান্ডে, গ্রেফতার আরেক আসামি

শিশু রাজন হত্যায় মুহিদ রিমান্ডে, গ্রেফতার আরেক আসামি

image

১৩ জুলাই, ২০১৫: সিলেটের কুমারগাঁওয়ের শিশু রাজন হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি মুহিতের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন সিলেটের একটি আদালত। আজ সকালে তাকে আদালতে তোলা হলে আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

হত্যার ঘটনায় আরেক আসামি ইসমাঈল হোসেন আবুলকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন লামাকাজি মিরেরগাঁও থেকে সোমবার ভোরে ইসমাঈলকে গ্রেফতার করা হয়।

ইসমাইল শিশু রাজন হত্যার প্রধান আসামি মুহিদ আলমের আত্মীয়। জালালাবাদ থানার ওসি আকতার হোসেন এ খবর নিশ্চিত করেছেন। এর আগে লাশ গুমের চেষ্টাকালে জনগণের হাতে ধৃত প্রধান আসামি মুহিতকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

 

গত ৮ জুলাই বুধবার সকাল সাতটার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ রোডের কুমারগাঁও বাসস্টেশন এলাকার বড়গাঁওস্থ সুন্দর আলী মার্কেটের একটি ওয়ার্কশপের সামনে খুঁটিতে বেঁধে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। এই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে আবার বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার করা হয়। পরে দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়ে।

২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র যারাই দেখেছেন কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। রাজনের শরীরের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে নির্যাতন করা হয়নি। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, নির্যাতন সইতে না পেরে রাজন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। একপর্যায়ে স্তব্ধ হয়ে যায় তার শরীর। শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। তখনই নির্যাতনকারীরা মাইক্রোবাসে তুলে লাশ গুম করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন ঘেরাও করে মাইক্রোবাসসহ লাশ আটক করেন। রাজনের পুরো নাম সামিউল ইসলাম রাজন। বয়স ১৩। বাড়ি সিলেট শহরতলির কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামে। পিতার নাম আজিজুর রহমান। তিনি পেশায় মাইক্রোচালক। আর মা লুবনা বেগম গৃহিণী। ঘাতকদের ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে রাজন জানিয়েছে, তারা দুই ভাই। সে বড়। তার ছোট আরও এক ভাই রয়েছে। সিলেট শহরতলির অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে সে। অভাব-অনটনের সংসারে আর পড়ালেখা করতে পারেনি। পিতাকে সাহায্য করতে সবজি ব্যবসায় নামে। এ কারণে রাজনকে রমজানে খুব ভোরে বাড়ি থেকে বের হতে হতো। ফিরতো বিকালে।