ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / টিয়ার ২ অধিনে ওয়ার্কপারমিটধারীদের ৩৫ হাজার পাউন্ড বেতন দেখাতে হবে

টিয়ার ২ অধিনে ওয়ার্কপারমিটধারীদের ৩৫ হাজার পাউন্ড বেতন দেখাতে হবে

টিয়ার ২ অধিনে নন ইউরোপিয়ান দেশ থেকে ওয়ার্কপারমিটে আসা স্কীল ওয়ার্কারদের বছরে ৩৫ হাজার পাউন্ড বেতন দেখাতে হবে ২০১৬ সাল থেকে। সাবেক কোয়ালিশন সরকারের আমলে ঘোষিত আইনটি বাস্তবায়িত হলে ওয়ার্কপারমিটধারী নন ইইউর নাগরিকদের বৃটেইনে লিভ টু রিমেইনের সুযোগ থাকবে না বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। টিয়ার ২-এর অধিনে স্কীল ওয়ার্কারদের জন্য আইনটি করা হলেও পর্যায়ক্রমে একই নিয়ম স্যাটেলমেন্ট ভিসার ক্ষেত্রেও জারি করা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তারা। নতুন এ নিয়মের বিরুদ্ধে এখন থেকেই শক্তিশালি ক্যাম্পেইন শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন কমিউনিটির ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা।

ইউকের ইমিগ্রেশনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী টিয়ার ২ এর অধিনে নন ইইউ ওয়ার্কপারমিটধারীদে বছরে ৩৫ হাজার পাউন্ড বেতন দেখাতে হবে বলে একটি আইনের ঘোষণা হয়েছিলো ২০১২ সালের মার্চে। ২০১৬ সালের এপ্রিলে তা বাস্তবায়িত হবে। এ বিষয়ে কিংডম সলিসিটর্সের প্রিন্সিপাল সলিসিটর ব্যারিষ্টার তারেক চৌধুরী জানালেন, প্রথম ৩ বছর সাধারণ সেলারী দেখালেও শেষ ট্রান্সেকশনে অর্থাৎ পরবর্তী দুই বছরের জন্য যখন ওয়াকপারমি রিনিউ করতে যাবেন তখন সার্টিফিকেটেই নতুন সেলারীর রুল কার্যকর দেখাতে হবে। অর্থাৎ বছরে ৩৫ হাজার পাউন্ডের নীচে সেলারী থাকলে ওই ওয়ার্কপারমিটধারী ইউকের লিভ টু রিমেইন পাবেন না বলে মত দেন ব্যারিষ্টার তারেক চৌধুরী। কমিউনিটির আরেক পরিচিত মুখ, ক্রিমিনাল কোর্টের ব্যারিষ্টার ইসলাম খান আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, সরকার যদি টিয়ার টুর ওয়ার্কপামটিধারীদের ক্ষেত্রে নতুন সেলারী রুল সফলভাবে কার্যকর করতে পারে তাহলে ধীরে ধীরে সেটেলমেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে ১৮ হাজার ৬শ পাউন্ডের পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। তাই এখন থেকেই ইস্যুটি নিয়ে সোচ্চার হওয়ার জন্য কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। নতুন সেলারী কৌটা চালু হলে শুধু নার্স নয়, কমিউনিটির ছোট বড় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওয়ার্কপারমিটধারীরাও বিপাকে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ম্যাক সলিসিটর্সের প্রিন্সিপাল ব্যারিষ্টার মাসুদ চৌধুরী।
ব্যারিষ্টার মাসুুদ চৌধুরী, ব্যারিষ্টার তারেক চৌধুরী এবং ব্যারিষ্টার ইসলাম খান ৩ জনই মনে করেন, ইস্যুটি নিয়ে কমিউনিটি সংগঠনগুলোর ক্যাম্পেইনে নামা উচিত। এ ইস্যুটি নিয়ে কথা বলেছে নার্স ইউনিয়ন। ২০২০ সালের ভেতরে নতুন এ আইনের কারণে ননইউ থেকে আসা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার নার্স ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে দ্যা রয়েল কলেজ অব নার্সিং।