ব্রেকিং নিউজ
Home / অপরাধ জগৎ / একই কায়দায় ১৫ খুন, তথাকথিত হত্যাকাণ্ডের রহস্য অধরাই

একই কায়দায় ১৫ খুন, তথাকথিত হত্যাকাণ্ডের রহস্য অধরাই

প্রায় একই কায়দায় এ যাবৎ হত্যা করা হয়েছে ১৫ জনকে। চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নয়তো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে এদের। এ ধরনের নৃশংসতার সর্বসাম্প্রতিক শিকার লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী অভিজিৎ রায়।

এ ধরনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নয়টি এবং বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনাও রয়েছে। কিন্তু কোনোটিরই রহস্য সন্দেহাতীতভাবে উদঘাটিত হয়নি।
লেখক ড. হুমায়ূন আজাদ, মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকী, গোপীবাগের কথিত পীর লুৎফর রহমানসহ ছয় জন, রাজধানীর উত্তরায় জেএমবির দলছুট সদস্য রাশিদুল ইসলাম, পল্লবীতে ব্লগার রাজীব হায়দার, খুলনার খালিশপুরে বাবা-ছেলে, বুয়েটের ছাত্র আরিফ রায়হান দ্বীপ, সাভারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হত্যা এবং সর্বশেষ অভিজিৎ হত্যা- নয়টি ঘটনা একই রকম। এসব ঘটনায় ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ড. হুমায়ন আজাদ এবং ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যায় জেএমবি ও আনসারুল্লাহ বাংল টিমের জঙ্গিদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তবে অন্য ঘটনার নেপথ্যে কারা, তার রহস্য এখনো অজানা।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৩ সালে ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে ‘কতল পদ্ধতির’ ব্যাপারে জানিয়েছে। গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন, ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচার ও বক্তব্য দানকারীদের গলা গেটে হত্যা করাকে ‘কতল’ বলছে জঙ্গিরা। আর এ কতল পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে একাট্টা হয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও জেএমবির জঙ্গিরা। প্রতিটি হামলা ও খুনের ঘটনার আগে হুমকিও দিচ্ছে উগ্রপন্থিরা। তবে হত্যা ও হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পারছেন না তদন্তকারীরা।
অভিজিৎ হত্যার পর টুইটারে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আনসারুল্লাহ বাংলা-৭ নামে একটি সংগঠন। উগ্রপন্থি বলে আনলাইনে পরিচিত ফারাবী সাইফুর রহমান ‘সে যখন দেশে আসবে তখন তাকে হত্যা করা হবে’ বলে হুমকি দেয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরাবী ব্লগার রাজীব হত্যার পর তার জানাজার ইমামকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিল।
ভুক্তভোগী পরিবার, লেখক, ব্লগারসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, হত্যাকারী শনাক্ত না হওয়ায় একের পর এক এমন ঘটনা ঘটছে। ধর্মের নামে তরুণদের ঠাণ্ডা মাথার খুনিতে পরিণত করছে একটি চক্র।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যার রহস্য আমরা উদঘাটন করেছি। অন্য ঘটনাগুলো উগ্রপন্থি জঙ্গিরা ঘটাতে পারে -এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে।’
২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন রোডের ৬৪/৬ নম্বর চারতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার বাসায় মুরিদ সেজে ঢুকে কথিত পীর লুৎফর রহমান ফারুক, তার ছেলে সারোয়ার ইসলাম ফারুক ওরফে মনির, খাদেম- মঞ্জুর আলম মঞ্জু, মুরিদ- শাহিন, রাসেল ও মুজিবুল সরকারকে জবাই করে দুর্বৃত্তরা।
গত বছরের ২৭ আগস্ট পূর্ব রাজাবাজারের ১৭৪ নম্বর বাড়ির ভাড়া বাসায় হজ্বে যাওয়ার ব্যাপারে আলাপ করার ছলে ঢুকে শায়খ মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি টেলিভিশনে ইসলামি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও ইসলামী ফ্রন্টের নেতা ছিলেন।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এই চাঞ্চল্যকর দুই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে একই রকম আলামত পায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুই খুনেই সাত-আটজন ব্যক্তি অংশ নেয়, যাদের দলনেতার চেহারা একই রকম। তার ছোট দাঁড়ি আছে। দুই খুনেই গলা কাটা হয়। দুই খুনেই জেএমবি বা আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের জড়িত থাকার সন্দেহ করছে তদন্তকারীরা।
গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে তিন জঙ্গি ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার আজমীর, গোলাম সরোয়ার রাহাত, জিয়াউল ইসলাম জিতু ও আল আমীন জেলহাজতে ছিলেন। ছয় খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের নির্দেশে তাদের দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
তবে জেএমবি বা আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের কোনো জঙ্গির সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেনি এখনো। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেএমবি ও আনসারুল্লাহ বাংলাটিমসহ সন্দেহভাজন জঙ্গি সংগঠনগুলো আহলে হাদিস মতাদর্শী। নিহত মাওলানা ফারুকী ছিলেন আহলে সুন্নাত মতাদর্শের। ‘পীর’ ফারুক নিজেকে ইমাম মেহেদীর প্রধান সেনাপতি এবং পীর বলে দাবি করতেন। নূরুল ইসলাম ফারুকীও টিভি অনুষ্ঠানে মাজার জিয়ারত এবং মিলাদ পড়ানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন। ফারুকীর বিরুদ্ধে অনলাইন ব্লগ ও ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
নূরুল ইসলাম ফারুকীর ছেলে ফয়সাল ফারুকী বলেন, ‘তদন্তকারীরা বলছেন তারা চেষ্টা করছেন। তবে আমরা এখন হতাশ। কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তার কোনো কিছুই বের হয়নি।’
ফারুকী হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিবির পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ বলেন, ‘উগ্রবাদি বিরোধী কোনো পক্ষ মাওলানা ফারুকীকে হত্যা করেছে- এমন ধারনা থেকেই তদন্ত করা হচ্ছে। গত ৮ নভেম্বর আহলে হাদীস ওয়াল জামায়াতের সাবেক সভাপতি মুযাফফর বিন মহসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ফারুকীর ব্যাপারে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন। তবে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে কোনো তথ্য মেলেনি।’
গোপীবাগের নিহত লুৎফর রহমান ফারুকের ছেলে আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি- বাবারে যারা মারছে তারা উগ্রপন্থি গ্রুপ। কারণ- এমন গ্রুপ তারে হুমকি দিয়েছে বলে শুনছিলাম। কিন্তু দেড় বছরেও পুলিশ কিছুই বের করতে পারল না।’
ছয় খুনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিবির পরিদর্শক আবু আল খায়ের মাতব্বর বলেন, ‘কিছু ভিত্তি বা সন্দেহ থেকেই জঙ্গিরা জড়িত বলে ধারণা করেছিলাম। তবে জিজ্ঞাসাবাদে খুনি চক্রের ব্যাপারে কোনো তথ্য মিলছে না।’
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ২০১০ সালে জেএমবির সদস্য রাশিদুল ইসলাম সংগঠনের কর্মকাণ্ড থেকে সরে গিয়ে আত্মসমর্পণের উদ্যোগ নেন। এরপর উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে তাকে পেছন দিক থেকে কুপিয়ে হত্যা করে কয়েকজন। খুনিদের একজনের মুখে দাঁড়ি ছিল বলে তথ্য পায় গোয়েন্দারা।
রাশিদুল দক্ষিণখানে মোল্লাটেক মসজিদের ইমাম ও দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলায় অংশ নেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দায়ের জঙ্গি তৎপরতার তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের অপেক্ষায় ছিল। গত পাঁচ বছরেও রাশিদুলের খুনিরা শনাক্ত হয়নি।
২০১৩ সালের ৮ আগস্ট ঈদুল ফিতরের আগের দিন খুলনার খালিশপুরে কথিত ধর্মীয় নেতা তৈয়েবুর রহমান ও তার কিশোর ছেলে নাজমুম মনিরকে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। খুনিরা ভক্ত সেজে বাসায় ঢুকে ঘটনাটি ঘটনায়। মুসলিম উম্মাহ নামের একটি সংগঠনের প্রধান ছিলেন তৈয়েবুর। ওই সংগঠনের সদস্যরা শনিবার জুমা ও প্রতিদিন তিন ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। রোজা রাখতেন ১০টি। নিজেকে উম্মুল মুমিনিন বলেও দাবি করতেন তৈয়েবুর। দেড় বছরেও খুনি চক্র শনাক্ত ও গ্রেপ্তার হয়নি।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পল্লবীতে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভনকে একই কায়দায় ঘাড় ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। তদন্তে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের একটি হত্যাকারী দলকে শনাক্ত করে ডিবি পুলিশ। আদালতে স্বীকারুক্তি দিয়ে আসামিরা জানায়, আনাসরুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসিমউদ্দিন রাহমানীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তারা রাজীব হায়দারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তাদের সে ‘কতল পদ্ধতির’ হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিল রেদওয়ানুল আজাদ রানা নামে এক ছাত্র। গত বছর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। তবে হত্যার মূল হোতা রানা এখনো ধরাছোয়ার বাইরেই আছে। অপর আসামিরা জেলহাজতে।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর অভিজিতের মতোই হামলার শিকার হন বহুমাত্রিক লেখক ড. হুমায়ন আজাদ। ঘটনার পরদিন তার ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। হামলার পর তিনি ২২ দিন ঢাকা সিএমএইচ এ এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পরে সুস্থ হয়ে জার্মানির মিউনিখে একটি গবেষণার জন্য গেলে একই বছরের ১২ আগস্ট হুমায়ন আজাদ মারা যান। এরপর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়। যদিও জার্মানিতে তাকে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
এই মামলার তদন্তে নেমে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সম্পৃক্তরা খুঁজে পায়। সিআইডি সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর সিআইডির পরিদর্শক কাজী আবদুল মালেক জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানি, নূর মোহাম্মদ সাবু ওরফে শামীম, মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। জেএমবি প্রধানসহ তিনজন গ্রেপ্তার হলেও শফিক ও আনোয়ার এখনো পলাতক আছে। হত্যাকান্ডের ১১ বছর পার হলেও শেষ হয়নি বিচারকাজ।
২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কবি নজরুল ইসলাম হলে ঢুকে একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় ছাত্র আরিফ রায়হান দ্বীপকে। ১৯ এপ্রিল বুয়েটের এমএ রশিদ হল থেকে মেজবাহ উদ্দিন মেজবাহ নামে এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ওই ছাত্র জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করে- ফরিদাবাদ মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি মাওলানা আবু সাঈদ তাকে বলেছেন, ইসলামের যারা বিরোধিতা করে তাদের ওপর হামলা করা বা জিহাদ করা ইমানি দায়িত্ব। মেজবাহ এ কথায় বিশ্বাস করে দীপের ওপর হামলায় উদ্বুদ্ধ হন। তবে তার পেছনে কোনো জঙ্গী সংগঠন আছে কি না, তা বের করতে পারেনি পুলিশ।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে আমবাগান গ্রামের ভাড়াবাড়িতে গলা কেটে হত্যা করা হয় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলমকে। হত্যাকাণ্ডের পর ‘আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের ফেসবুক পেজে নিহত আশরাফুলকে নাস্তিক, মুরতাদ বলে আখ্যা দেয়া হয়। আশরাফুল আলম হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখনো উদঘাটিত হয়নি। জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।’
২০১৩ সালে ব্লগার রাজীব হায়দারকে হত্যার আগে ১৩ জানুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় আরেক ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে ডিবি পুলিশ দাবি করে, একই গ্রুপই আসিফকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। ওই বছরের ৭ মার্চ রাতে মিরপুরের পূরবী সিনেমা হলের কাছে কুপিয়ে জখম করা হয় সানিউর রহমান নামে এক ব্লগারকে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বেঁচে যাওয়া সানিউর বলেন, দুই যুবক পেছন থেকে অনুসরণ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন সানিউর। তবে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। জানতে চাইলে পল্লবী থানার ওসি সৈয়দ জিয়াউজ্জামান বলেন, ‘আমি ওই ঘটনার পর থানায় জয়েন করেছি। তদন্তের কী অবস্থা সেটা বলতে পারবো না।’
২০১৩ সালের জুন মাসে এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় কুপিয়ে জখম করা হয় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার রাকিব আল মামুনকে। তার হামলাকারীরাও শনাক্ত হয়নি। ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট বুয়েটের আরেক ছাত্র তন্ময় আহমেদকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।