ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / গাজায় ইসরাইলী হামলার বিরুদ্ধে লণ্ডনের রাজপথে লাখো জনতা

গাজায় ইসরাইলী হামলার বিরুদ্ধে লণ্ডনের রাজপথে লাখো জনতা

ইরাক যুদ্ধের পর এ যাবৎকালের সবচেয়ে বৃহৎ প্রতিবাদ সমাবেশ
image
ইব্রাহিম খলিল : ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের নগ্ন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লণ্ডনের রাস্তায় প্রতিবাদ করেছেন হাজার হাজার শান্তিকামী মানুষ। ইরাক যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদের পর লন্ডনের রাজপথে এটিই এ যাবৎকালের সবচেয়ে বৃহৎ সমাবেশ। ধর্ম-বর্ন, সাদা-কালো আবাল বৃদ্ধা বনিতার কন্ঠে একই প্রতিধ্বনী জানিয়েছেন, অভিলম্বে রক্ষা করতে হবে গাজার মুসলমানদের। প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেওয়া বৃটেনের সোশালিস্ট, কমিউনিস্ট ও ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা বলেছেন, ইসরাইল গাজায় নিরিহ মানুষ হত্যার মধ্য দিয়ে সকল আর্ন্তজাতিক আইন লঙ্গন করেছে। এ জন্য তাদের কাটগড়ায় দাড় হতেই হবে।
২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের সময় লণ্ডনের রাস্তায় প্রতিবাদ করতে নেমে এসেছিলেন ১ মিলিয়ন মানুষ। এবার গাজা হামলার প্রতিবাদে আবারো তারা জানিয়েছেণ জোরালো প্রতিবাদ। ইউরোপের সর্ববৃহৎ ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন ইউনাইট দ্যা ইউনিয়ন, ইউনিসন, রাজনৈতিক দল সোসালিস্ট পার্টি, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন, মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন, ইসলামিক ফোরাম অব ইউরোপসহ কয়েক শতাধিক ট্রেড ইউনিয়ন, চ্যারটি সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন প্রতিবাদ সমাবেশে। ইসরাইল বিরোধী প্লেকার্ড ব্যানার , ফেস্টুন হাতে শান্তিকামী এসব মানুষ সকাল থেকে জড়ো হতে থাকেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে। বিকেল সাড়ে ১২টায় কানায় ভরে যায় ডাউনিং স্ট্রিটের আশে পাশের সকল সড়ক। বন্ধ হয়ে যায় সেন্ট্রাল লন্ডনের সকল যান চলাচল। ’’ এন্ড কিলিং ইন গাজা, স্টপ দ্যা ওয়ার, ফ্রি প্যালেস্টাইন’’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে লণ্ডনের রাজপথ। ডাউনিং স্ট্রিটে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশের পর বিক্ষিভ মিছিল সহকারে লন্ডনের ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ জানান।
শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির থাকার সুবাদে শত শত পরিবার যোগ দেন তাদের সন্তানদের নিয়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের হাজারো মানুষের প্রতিবাদ সমাবেশ। নিজের গায়ে রক্ত মেখে শিশুরাও প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানায় ইসরাইলি বর্বরতার। লন্ডনের এই প্রতিবাদে অংশ নেন বাঙালীরাও। বৃটিশ পার্লামেন্টের একমাত্র বাঙালী এমপি রোশনারা আলী, মেয়র লুৎফুর রহমান, বৃটেনের যুদ্ধবিরোধী নেতা জর্জ গ্যালওয়ে এমপি, ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন টেলকোর চেয়ার নেইল জনসন, ইউনাইট দ্যা ইউনিয়নের লিডার ইউলি হাওয়ার্ডসহ লেবার পার্টির বেশ কয়েকজন এমপি সমাবেশে যোগ দেন।
পুরো পৃথিবীতে যখন স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে একাত্ম শান্তকামী মানুষ। তখন বিশ্বনেতাদের ভূমিকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন সমাবেশে লণ্ডনের রাজপথে সমবেত প্রতিবাদকারীরা।